Wednesday, March 25, 2015

হায়েজ-নেফাছ কালীন সহবাস করা....
আল্লাহ তা’আলা নারী-পুরুষের মাঝে পারস্পরিক মিলনের মাধ্যমে আত্মতৃপ্তি ও আত্ম প্রশান্তি লাভের যে কামনা ও চাহিদা অংকুরিত করে রেখেছেন তা মিটানোর জন্য ইসলাম মানুষকে ছেড়ে দেয়নি বল্গাহারা প্রবৃত্তি ও অবাধ যৌনাচারের হাতে। বরং এই চাহিদা পূরণের জন্য ইসলাম মানুষকে বাতলে দিয়েছে “বিবাহের’ মত এক সুনির্দিষ্ট পন্থা।
বিবাহ অনুষ্ঠান সমাপ্ত হওয়ার পর স্বামী-স্ত্রী মিলিত হয় নির্জনে একটি বিশেষ মুহুর্তে। তখন স্বাভাবিক ভাবেই স্বামী-স্ত্রীর মনে বয়ে যায় ঝড়ো হাওয়া। তাকে অস্থির করে তুলে সহবাসের তীব্র অনুভুতি। নিজেকে তখন সে আর ধরে রাখতে পারে না। বন্য প্রাণীর মত ঝাঁপিয়ে পড়ে স্ত্রীর উপর। একটু ভেবেও দেখেনা যে তার সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী ঋতুবতী কিনা। ইসলামের হুকুম সম্পর্কে অজ্ঞ থাকার কারণে স্ত্রীর বারণও কোন কাজে আসে না। সে সহবাস করেই ফেলে। স্বামী-র এই বন্য আচরণে স্ত্রী তখন ভীষণ কষ্ট পায়। অস্বস্তিতে ভোগে। অথচ আল্ -কুরআন তা পরিস্কার ভাষায় নিষেধ করে দিয়েছে এই বলে-
আয়াতের অর্থ= “ তোমরা ঋতুবতীকালীন সময় স্ত্রীর সাথে সহবাস করো না।”
আল-কুরআনের এই হুকুমের রহস্য ও তাতপর্য উদঘাটন করতে গিয়ে আধুনিক চিকিতসা বিজ্ঞান যে বিষয়টি আবিস্কার করেছে, তা এই যে, হায়েযের রক্তে এক প্রকার বিষাক্ত পদার্থ মিশ্রিত থাকে যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তা ছাড়া ঋতুস্রাবের সময় রক্ত জমা হওয়ার কারণে স্ত্রীর বিশেষ অংগ সংকুচিত হয়ে পড়ে এবং তার শিরা-উপশিরাগুলো উঠানামা করতে থাকে। তাই ঋতুকালীন সময়ে স্ত্রী সহবাস শারীরিকভাবে যেমন তিকর তেমনি কখনো কখনো তা রক্তস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়, আর পরবর্তীতে দেখা দেয় যোনী পথে ব্যাথা ও জ্বালা-পোড়াসহ আরো অনেক মারাত্মক উপসর্গ। বর্তমানের মরণব্যাধি এউডৃসও এই ধরনের অপরিণামদশির্তা থেকেই জন্ম নিয়েছে।
স্বামী-স্ত্রীর মাঝে দেখা দেয় কঠিন কঠিন ব্যাধি যেমনঃ ঋতু সংক্রান্ত রোগ, মুত্রনালীর জ্বালা-পোড়া, তা থেকে পুঁজ নির্গত হওয়া ইত্যাদি। এর অসহ যন্ত্রণা ভোগ করতে হয় সারা জীবন ধরে। এমনকি পরবর্তী প্রজন্মও তা থেকে মুক্তি পায়না

0 comments:

Post a Comment

inf

Translate

Social Icons

Social Icons

Recent Comments

Featured Posts

Popular Posts

Recent Posts