ছেলেরা
সেক্স সম্পর্কে অনেক মুভি দেখে, বই পড়ে। এছাড়া অনেক ছেলেরই অনেক মেয়ের
সাথে সেক্স করার অভিজ্ঞতা থাকে। মোট কথা একজন ছেলের সেক্স সম্পর্কে একটা
মোটামুটি ধারনা আছে। এবং অনেকেই মনে করে যে সে সেক্স নিয়ে সব জানে। পর্ণ
দেখে অনেকেই মনে করে সে চাইলেই সেক্স করতে পারবে, এবং একটা মেয়েকে
সম্পূর্ণ স্যাটিসফাই করতে পারবে। ব্লু ফিল্ম, পর্ণ এগুলো থেকে আমরা অনেক
কিছু জানি সত্যি, কিন্তু তার সাথে যে বাস্তব জীবনের অনেক তফাত তাও সবাই কোন
না কোন সময় টের পেয়েছি। আর ছেলেদের আত্মবিশ্বাসের কারণেই হোক আর পর্ণ
থেকে জ্ঞান লাভের কারণেই হোক, তারা সেক্স করার সময় কিছু ভুল করে থাকে
প্রায়ই। এসব কিছু সাধারণ সেক্স ভুলের কথা বলা হল।
আপনি জানেন সে কি
চায়: অনেক ছেলেই মনে করে সে জানে তার পার্টনার কি চায়। অনেকেই আগে অনেক
মেয়ের সাথে শোয়ার কারনে অনেক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হয়ে ভাবে যে তার জন্য
মেয়েদের হ্যান্ডেল করা কোন ব্যপার না। সে চাইলেই একটা মেয়েকে অর্গাসোম
দিতে পারে, এবং তার বিশেষ জায়গা গুলো স্পর্শ করে তাকে অনেক বেশি হর্নি করে
দিতে পারে। পর্ণ দেখে পরিপক্ক হয়েও অনেকে তা ভাবে। তবে আসল কথা হল,
প্রত্যেকটা মেয়ের সেক্সুয়ালিটি অন্য মেয়েদের থেকে আলাদা। তাই অন্য
মেয়েদের সাথে তুলনা করে কোন মেয়ের টার্ন অন পয়েন্ট গুলো বোঝা যায় না।
তাকে সময় দিয়ে বুঝতে হয়। অনেক মেয়েই লাজুক হয় এসব ব্যাপারে , তাই
কখনওই বলে না তারা কি চায়। সে ক্ষেত্রে সেক্সের সময় তার মুখের
এক্সপ্রেশন, কর্মকান্ড দেখে প্রত্যেকটা মেয়েকেই আলাদা করে বুঝে নিতে হয়।
সে যা চায় সব আপনার আছে: বেশির ভাগ ছেলেই মনে করে যে একটা মেয়েকে
স্যাটিসফাই করার ক্ষমতা তার আছে। কিন্তু এমন অনেক মেয়ে আছে যারা বেশ প্রবল
ভাইব্রেশন ছাড়া অর্গাসোম লাভ করতে পারে না। ফিঙ্গারিং(১),(২), পেনেট্রেশন
বা . ওরাল সেক্সে সে সম্পূর্ণ মজা পায় না। এখানে কোন অস্বাভাবিকতা নেই।
এবং এতে কোন ছেলের পৌরষত্ব কমে যায় না। সেক্স করার সময় দুইজন নিজেদের মত
কাজ করতে পারে, ঠিক তখনই ভাইব্রেটর তার কাজ করতে পারে। এরকম আরও অনেক কিছুই
আছে, আপনি সবসময় যেভাবে সেক্স করেন তাতে সে মজা নাও পেতে পারে। তাই একটা
মেয়ের সেক্সুয়ালিটিকে বুঝে তাকে ইন্টারকোর্সে আনন্দ দিতে হবে।
সেক্স ছেলে ও মেয়ে উভয়ের কাছে একই: ছেলেদের আরেকটি ভুল ধারনা হল, সেক্সে
একটা ছেলে যতটা মজা পাচ্ছে ঠিক ততটাই একটা মেয়ে মজা পাচ্ছে। পেনিস কে
ভ্যাজায়নায় ঢুকিয়ে যে মজা তা একটা মেয়ের কাছে তেমন হতে পারে না এটা
অনেক ছেলের কল্পনাতেই আসে না। কিন্তু আসলে মেয়েদের ভ্যাজায়নার ভেতরের অংশ
বাইরের থেকে আরও অনেক বেশি সেন্সিটিভ। জোরে পেনিস ঢুকালে মজা লাগে সত্যি,
কিন্তু পেনিস অনেক বড় হলে অনেক ক্ষেত্রেই মনে হয় যে পেটে কেউ বাড়ি
দিচ্ছে জোরে। ব্যথাও অনুভব হয় মাঝে মাঝেই। তাই জোরে দেওয়ার আগে তার
অনুভূতিটা বুঝে নিবেন।
মেয়েদের দৈহিক গঠন সম্পূর্ণই আপনি জানেন:
ছেলেরা অনেকেই মনে করে যে মেয়েদের দৈহিক গঠন সম্পর্কে সে অনেক কিছুই জানে।
ক্লিটরিস, জি স্পট চিনে মানেই সে একটা মেয়েকে অর্গাসোম দিতে পারে সহজেই।
কিন্তু ব্যাপারটা তেমনও নয়। একটা মেয়েকে অর্গাসোম দেওয়ার জন্য সেগুলো
তার ক্ষেত্রে কিভাবে স্টিমুলেট করতে হয় তা জানাও আবশ্যক। একটা মেয়ের
ক্লিটরিস সাক করলে সে হর্নি হয়, আবার আরেকজনের ভাইব্রেটর প্রয়োজন হয়।
এসব রকম ফেরের কারনে প্রত্যেককে আলাদা করে অবসার্ভ করতে হয়, এবং বুঝতে হয়
সঙ্গিনীকে।
ভেজা মানেই টার্ন অন: মেয়েদের টার্ন অন হওয়া মানেই
যেন তার ভ্যাজায়না ভিজে ওঠা। ঠিক না কথাটা। একটা মেয়ের ভ্যাজায়না এমনি
তেও ভেজা থাকতে পারে। আবার অনেকক্ষণ মেইক আউটের পরও দেখতে পারেন ভেজে নি
ভ্যাজায়না। ভ্যাজায়নার তরল কারও কম হয় কারও বেশি। সেক্সের আগে সবারই
কিছু বের হয়, তবে শুকনা দেখলেই ভাববেন না সে যথেষ্ট টার্ন অন হয় নি। এটা
সম্পূর্ণই প্রাকৃতিক ব্যপার। তাই ভেজা মাত্রই টার্ন অন হওয়া নয়।
নিস্তব্ধ থাকাই উচিত: ছেলেরা মনে করে সেক্সের সময় চুপ করে সেক্স করতে হয়।
মেয়েদের moaning এ তারা টার্ন অন হয় ঠিকই কিন্তু নিজেরা তেমন কিছু বলে
না। শুনে রাখুন, ছেলেদের moaning ও মেয়েরা শুনতে চায়, এবং এটা তাদের
টার্ন অন করে। এছাড়া সেক্সের সময় কিছু ছোট খাট কথা সেক্সকে আরও মজার এবং
ভালবাসাময় করে তুলে। যেমন ধরেন আপনি চাচ্ছেন সে আপনার পেনিস সাক করুক।
আপনি তাকে নিচে ঠেলে দিবেন? না, নিচে দেখিয়ে বলতে পারেন এভাবে করলে
ভাললাগে আমার। এমনকি কিছু মেয়েকে সেক্সের সময় আই লাভ ইউ, বা কোন
রোম্যান্টিক কথা বললে তারা আরও হর্নি হয়, এবং আপনার প্রতি আরও অনেক মনযোগী
হয়ে উঠবে। বিশ্বাস হচ্ছে না? চেষ্টা করেই দেখুন না।
Saturday, March 28, 2015
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment